যুদ্ধবিরতির পর আইপিএল নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বিসিসিআই। ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, বিসিসিআই পাঞ্জাব কিংস ছাড়া বাকি সব দলকে নির্দিষ্ট ভেন্যুতে আগামী মঙ্গলবার রিপোর্ট করার নির্দেশনা দিয়েছে। আগামী শুক্রবার আইপিএল শুরুর পরিকল্পনা তাদের।
আগের সূচি অনুযায়ী আইপিএল শেষের কথা ছিল ২৫ মে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, আইপিএল স্থগিত হওয়ার পর আবার তা শুরু হলে ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে বিসিসিআই। ১৬ মে থেকে চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ—এই তিন ভেন্যুতে বাকি ম্যাচগুলো আয়োজনের কথা ভাবছে বিসিসিআই।
আজ রাতের মধ্যেই নতুন সূচি আইপিএলের প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে পাঠানো হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিসিসিআইয়ের এক সূত্রের উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ‘আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত হওয়ায় ফাইনাল ২৫ মের পরিবর্তে ৩০ মে অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে বাকি ম্যাচগুলো হবে নির্দিষ্ট কয়েকটি ভেন্যুতে। দলগুলোর কাছে আজ রাতেই সূচি পাঠানো হবে।’
যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। এখন আমরা আইপিএল পুনরায় শুরু ও শেষ করার সুযোগ খুঁজছি। যদি তাৎক্ষণিকভাবে আয়োজন সম্ভব হয়...তাহলে আমাদের ভেন্যু, সময়সূচি ইত্যাদি ঠিক করতে হবে।আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল
আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত হওয়ার পর শুক্রবার অধিকাংশ বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা নিজ দেশে ফিরে গেছেন। এখন দলগুলো তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে। এখনো ১২টি ম্যাচ বাকি থাকায় বিসিসিআইয়ের অন্তত দুই সপ্তাহ টুর্নামেন্ট শেষ করতে সময় দরকার । কারণ, প্লে-অফ ও ফাইনাল আয়োজনে প্রয়োজন হবে ছয় দিন। তাই এখন একই দিনে দুই ম্যাচের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বোর্ডের আরেক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ‘সব ফ্র্যাঞ্চাইজিকে বলা হয়েছে, তারা যেন নিজেদের দলের খেলোয়াড়দের মঙ্গলবারের মধ্যে নির্ধারিত ভেন্যুতে রিপোর্ট করতে বলে। পাঞ্জাবের একটি নিরপেক্ষ ভেন্যু থাকবে, তাই তাদের গন্তব্য এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বোর্ড আরও ডাবল হেডার (এক দিনে দুই ম্যাচ) আয়োজনের পরিকল্পনা করছে, যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আইপিএল শেষ করা যায়।’আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল বলেছেন, ‘যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। এখন আমরা আইপিএল পুনরায় শুরু ও শেষ করার সুযোগ খুঁজছি। যদি তাৎক্ষণিকভাবে আয়োজন সম্ভব হয়...তাহলে আমাদের ভেন্যু, সময়সূচি ইত্যাদি ঠিক করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা মালিকপক্ষ, সম্প্রচারকারী সংস্থাসহ সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করব এবং পথ খুঁজব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।’
বিসিসিআই এর আগে সীমান্ত উত্তেজনার কারণে আইপিএল স্থগিত করেছিল। এরপর চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদকে বাকি ম্যাচের ভেন্যু হিসেবে প্রাথমিকভাবে বেছে নেয়। তবে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।