রাজধানীর তুরাগে দগ্ধ হয়ে রিজিয়া বেগম (৪৫) নামের এক নারী মারা গেছেন। পুলিশ বলছে, রিজিয়ার শরীরে তাঁর স্বামী আগুন দিয়েছিলেন।
রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিজিয়ার মৃত্যু হয়। রিজিয়া তুরাগ এলাকায় ফুটপাতে ফুল বিক্রি করতেন। পাশাপাশি ভাঙারির কাজও করতেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, রিজিয়ার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তুরাগের বউবাজার এলাকায় রিজিয়ার শরীরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। দগ্ধ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন প্রথমে তাঁকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
প্রতিবেশী রাশিদুল ইসলাম বলেন, রিজিয়ার স্বামী মো. আবু সাইদ অটোরিকশাচালক। ঘটনার রাতে তিনি মাদক কেনার জন্য স্ত্রীর কাছে টাকা চান। কিছু টাকা পাওয়ার পর আরও টাকা চাওয়া নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ সময় সাইদ রিজিয়াকে মারধর করে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
রিজিয়ার বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার পেলাখালী বড়গ্রামে। তিনি তুরাগের দিয়াবাড়ী গোলচত্বর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের মা ছিলেন।